আপনি কি আমাদের ডাটাবেজে লিখতে বা তথ্য যোগ করতে চান? এজন্য আপনাকে একটি অ্যাকাউন্ট খুলে নিতে হবে অথবা ইতিপূর্বে অ্যাকাউন্ট খোলা থাকলে লগইন করুন। আপনাকে স্বাগত জানাই।
জহুর আহমদ চৌধুরী
লুয়া ত্রুটি: আভ্যন্তরীণ ত্রুটি: প্রস্থানের সময় দোভাষীর অবস্থা 1।লুয়া ত্রুটি: আভ্যন্তরীণ ত্রুটি: প্রস্থানের সময় দোভাষীর অবস্থা 1। জহুর আহমদ চৌধুরী বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের একজন প্রখ্যাত রাজনীতিবিদ, মুক্তিযুদ্ধের সংগঠক এবং সাবেক শ্রম, সমাজকল্যান, স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা মন্ত্রী।[১] মুক্তিযুদ্ধে অসামান্য অবদানের জন্য ২০০১ সালে তাকে স্বাধীনতা ও মুক্তিযোদ্ধা ক্ষেত্রে মরণোত্তর স্বাধীনতা পুরস্কার প্রদান করা হয়।[২]
পরিচ্ছেদসমূহ
প্রারম্ভিক জীবন
ব্রিটিশ ভারতের চট্টগ্রাম জেলার উত্তর কাট্টলী গ্রামে জহুর আহমদ চৌধুরী ১৯১৬ সালে জন্মগ্রহন করেন। তার পিতার নাম আবদুল আজিজ চৌধুরী ও মাতার নাম জরিনা বেগম।
পারিবারিক জীবন
জহুর আহমদ চৌধুরী পারিবারিক জীবনের প্রতি উদাসিন ছিলেন। তিনি রাজনীতির জন্য পরিবারে সময় দিতে পারেননি। তিনি তিনবার বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন ও বিশ সন্তানের জনক ছিলেন। তার তৃতীয় পত্নী ডা. নুরুন নাহার জহুর একাধারে, রাজনীতিবিদ, সাহিত্যিক ও নারী নেত্রী ছিলেন। তার প্রথম পুত্র সাইফুদ্দিন খালেদ চৌধুরী মুক্তিযুদ্ধে শহীদ হন এবং তার দ্বিতীয় পুত্র জনাব মাহাতাব উদ্দিন চৌধুরী চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের সহ সভাপতি ছিলেন।
শিক্ষা জীবন
তিনি কাট্টলী নূরুল হক চৌধুরী উচ্চ বিদ্যালয় ও পাহাড়তলী রেলওয়ে হাইস্কুলে পড়াশোনা করেন। পরে কলকাতা ইসলামিয়া কলেজ থেকে ইন্টারমিডিয়েট পাস করেন।
কর্মজীবন
জহুর আহমদ চৌধুরী স্বাধীন বাংলাদেশের প্রথম মন্ত্রিসভায় শ্রম ও সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব পালন করেন। শ্রমমন্ত্রী হিসেবে তিনি জেনেভায় অনুষ্ঠিত আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থার সম্মেলনে (আই এল ও কনভেনশন) বাংলাদেশের প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দেন। তিনি ১৯৭৩ সালের সংসদ নির্বাচনে কোতোয়ালী-পাঁচলাইশ আসন থেকে আওয়ামী লীগের প্রার্থী হিসেবে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন এবং সরকারের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী নিযুক্ত হন। জহুর আহমদ চৌধুরী আমৃত্যু আওয়ামী লীগ কেন্দ্রীয় কমিটির শ্রম বিষয়ক সম্পাদক ছিলেন।
মুক্তিযুদ্ধে অবদান
জহুর আহমদ চৌধুরীর জীবনের সবচেয়ে গৌরবজনক অধ্যায় মুক্তিযুদ্ধ। একাত্তর সালের ২৬ মার্চ (২৫ মার্চ মধ্যরাতে) বঙ্গবন্ধু স্বাধীনতা ঘোষণার পর, চট্টগ্রামে জহুর আহমদ চৌধুরীর কাছে পাঠিয়েছিলেন দেশে-বিদেশে প্রচারের জন্য। পরবর্তীকালে চট্টগ্রামে প্রতিষ্ঠিত স্বাধীন বাংলা বেতারকেন্দ্র থেকে বঙ্গবন্ধুর এই ঘোষণা প্রচার করা হয়। মুক্তিযুদ্ধে আগরতলায় অবস্থান নিয়ে জহুর আহমদ চৌধুরী মুজিব নগর সরকারের প্রতিনিধি হিসেবে গোটা দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলে মুক্তিযুদ্ধ পরিচালনা করেন। মুক্তিযুদ্ধের শুরুতেই তিনি আগরতলা গিয়ে সাংবাদিকদের মাধ্যমে বাংলাদেশে পাকিস্তানি সেনাবাহিনীর গণহত্যা ও ধ্বংসযজ্ঞের সংবাদ বিশ্ববাসীর কাছে পৌঁছে দেন। তিনিই প্রথম বাংলাদেশের পক্ষে ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রীর মাধ্যমে ভারত সরকারের সঙ্গে যোগাযোগ করেন এবং মুক্তিযুদ্ধে সহযোগিতার আহ্বান জানান।
মুক্তিযুদ্ধকালীন সময়ে তিনি সংগঠকের ভুমিকা পালন করেন। তিনি জোনাল ওয়ার কাউন্সিল ও জোনাল এডমিনিস্ট্রিটিভ কাউন্সিলের চেয়ারম্যানের দায়িত্ব পালন করেন।[৩] মুক্তিযুদ্ধে অসামান্য অবদানের জন্য ২০০১ সালে তাকে মরণোত্তর স্বাধীনতা পুরস্কার প্রদান করা হয়।[৪]
রাজনৈতিক জীবন
মেধাবী ছাত্র হওয়া সত্ত্বেও জহুর আহমেদ চৌধুরী পারিবারিক দুরবস্থার জন্য পড়াশুনা করতে পারেননি। রাজনীতির প্রতি আগ্রহ থেকে তিনি শৈশবকাল থেকেই মুসলিম লীগের রাজনীতির সঙ্গে জড়িয়ে পড়েন। তিনি কলকাতায় গমন করেন ও মওলানা ইসলামবাদীর সান্নিধ্যে আসেন। কংগ্রেসপন্থী হবার কারণে তিনি ইসলামবাদীর সঙ্গে বেশিদিন থাকেননি। কলকাতা অবস্থানকালে তার সঙ্গে ফজলুল কাদের চৌধুরী ও আবুল খায়ের সিদ্দিকীর সঙ্গে ঘনিষ্ঠতা হয়।
১৯৩৭ সালে জহুর আহমদ চৌধুরী কলকাতার খিজিরপুরে ডক শ্রমিক আন্দোলনে জড়িয়ে পড়েন। তিনি ১৯৪০ সালে মুসলিম লীগের রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত হন। তিনি ১৯৪৩ সালে চট্টগ্রাম ডক শ্রমিক ইউনিয়ন প্রতিষ্ঠা করেন। এ বছর সর্বপ্রথম শেখ মুজিবর রহমানের সঙ্গে তার পরিচয় হয় এবং শেরে-এ-বাংলা ও সোহরাওয়ার্দির কাছাকাছি চলে আসেন। ১৯৪৫ সালে শেখ মুজিবর রহমানের নেতৃত্বে ১৪৪ ধারা ভঙ্গ করেন। ১৯৪৭ সালে সিলেট গণভোটে অংশ নেন। ১৯৪৯ সালে নিখিল ভারত মুসলিম লীগ প্রতিষ্ঠায় অবদান রাখেন। ৫২'র ভাষা আন্দোলন, ৬ দফা আন্দোলন, ৬৯ এর গণঅভ্যুত্থানে অংশ নেন। ১৯৫২ সালে চট্টগ্রাম পৌরসভা নির্বাচনে কমিশনার পদে নির্বাচিত হন। ১৯৭০ সালের সাধারণ নির্বাচনে জনপ্রতিনিধি হিসেবে অংশ নেন ও জয়লাভ করেন। ১৯৭২ সালে গণপরিষদ সদস্য হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।[৫]
১৯৫৪ সালে তিনি যুক্তফ্রন্টের হয়ে, শের-এ-বাংলা এ কে ফজলুল হক, মাওলানা আবদুল হামিদ খান ভাসানি এবং হুসেইন শহীদ সোহরাওয়ার্দীর নেতৃত্বে, নির্বাচনে দাড়ান এবং মুসলিম লীগের প্রখ্যাত নেতা রফিউদ্দিন সিদ্দিকীকে পরাজিত করেন।
জহুর আহমেদ চৌধুরী আমৃত্যু রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত ছিলেন।
মৃত্যু
পুরষ্কার ও সম্মাননা
তথ্যসূত্র
- ↑ https://songramernotebook.com/archives/100478#gsc.tab=0
- ↑ https://web.archive.org/web/20171201042150/http://www.cabinet.gov.bd/site/view/all_independence_awardees
- ↑ https://www.thedailystar.net/news/zahur-ahmed-chowdhury-a-true-peoples-leader
- ↑ https://web.archive.org/web/20171201042150/http://www.cabinet.gov.bd/site/view/all_independence_awardees
- ↑ https://www.thedailystar.net/news/zahur-ahmed-chowdhury-a-true-peoples-leader